গুরু মহাশয়

Image
গুরু মহাশয় মোঃ আরিফ হোসেন            আকাশ বড় সাগর বড়  নদী বড় পাথার বড়; সবচেয়ে বড় তুমি, সেই তোমাকে ভালবাসি! তুমি যদি বড় না হতে আমি ছোট হয়ে যেতাম সেই কথা' স্মরণ কোরো, স্মরণ কোরো দিনরাত! তোমার বড়'র জন্যই যে এ জীবন তা কি তুমি বোঝনা?  তাহলে আরও বড় হচ্ছনা কেন?আজ থেকে আরও বড় হওয়ার চেষ্টা কর! তুমি বড় না হলে যে আমি ছোট হয়ে যাই সে কথা কি তুমি বোঝনা! কে কবে বড় হয়েছিল জানিনা তবে তুমি সবচে' বড় -এ আমার ভাল লাগে,  এ আমার গান! তুমি বড় থাকলে কি হয়? আমার আকাশে ফুল ফোটে, পাখি গান ধরে, উড়োজাহাজ" উড়ে বেড়ায় আকাশ জুড়ে! হে আমার বড় তুমি সারাক্ষণ বড় থেকো তানাহলে আমার কিছু ভাল লাগেনা- এ কথা মনে রেখো! বড় তুমি বড় থাকবে এটাইতো স্বাভাবিক,  তাহলে কাল কেন ছোট হতে গেলে?  তোমাকে দেখলাম ধানের গোলা একটা হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছ; ধানের গোলা কেউ হাতে নেয়! এখন থেকে বড় আছ, বড় থাকবে! বড় হতে গেলে কি কি লাগে?  ধান লাগে, পান লাগে, সবুজ খান লাগে; তোমার তো কোন কিছুর অভাব নাই,তাহলে বড় হতে সমস্যা কোথায়?  এখন থেকে বড় আছ আরও বড় হওয়ার চেষ্টা করবে!  বড় হতে গেলে আরও একটা জি...

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে কিছু কথা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে কিছু কথা 

মোঃ আরিফ হোসেন 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের  সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচিত। তিনি শুধু বাংলা সাহিত্য নয় বিশ্ব সাহিত্যেরও একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব।রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন আট তখনই তাঁর সাহিত্য প্রতিভার স্ফূরণ ঘটে।তত্ত্বাবোধিনী পত্রিকায় তাঁর অভিলাষ নামে একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ এমন এক কবি তাঁর সম্বন্ধে বলতে গেলে অনেক কথাই বলতে হয়।রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়লে এমন এক ভাবের জগতে হারিয়ে যেতে হয় যা আধ্যাত্মিকতার পর্যায়ে পড়ে। রবীন্দ্রনাথ এর একটি সর্বোক্তি, যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই যাহা পাই তাহা চাইনা।

রবীন্দ্রনাথ এর প্রেম: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৩ সালে  ভবতারিণী দেবীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।ভবতারিণী দেবী ঠাকুর পরিবার এর এক অধস্তন কর্মচারীর কন্যা ছিলেন।বিয়ের পর ভবতারিণী দেবীর নাম হয় মৃণালিনী। ভবতারিণীর ঘরে রবীন্দ্রনাথ এর মোট পাঁচটি সন্তান জন্ম লাভ করে। এর মধ্যে দুটি সন্তান অল্প বয়সেই মারা যায়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সব কাব্যে প্রেমকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা দুজন ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে অনাদি কালের হৃদয় উৎস হতে। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ প্রেমকে দেখেছেন এ মহাবিশ্বের মহাকালের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে। রবীন্দ্রনাথ এর স্ত্রী মৃণালিনী দেবী ১৯০২ সালে অকালে প্রয়াণ লাভ করেন।তাতে তিনি ভীষণ বিষন্ন হয়ে পড়েন।মৃণালিনী দেবী ছাড়াও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো নামে এক বিদেশিনীর প্রেমে পড়েন রবীন্দ্রনাথ। আর্জেন্টাইন ঐ নারীর নাম ছিল ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো।যতটুক জানা যায় ঐ নারীকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি ছবিও এঁকেছিলেন।রবীন্দ্রনাথ এর একটি গানের কয়েকটি লাইন হল, আমি চিনিগো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী..................। এ গানে কবি নারীর প্রতি এক ধরনের নস্টালজিয়া অনুভব করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ এর সব গান ও কবিতায় প্রেম এক অনন্য স্থান লাভ করেছে। তিনি লিখেছেন, 

যদি প্রেম দিলেনা প্রাণে 

কেন ভোরের আকাশ ভরে দিলে এমন গানে গানে?

কেন তারার মালা গাঁথা 

কেন ফুলের শয়ন পাতা।

ফুল যেন রবীন্দ্রনাথ এর কথা বলে

রবীন্দ্রনাথ এর শেষ জীবন : রবীন্দ্রনাথ শেষ জীবনে এক ধরনের একাকিত্ব ও সাহিত্যকে অনুসঙ্গ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ১৮৪১ সালে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও কাব্য চর্চায় অগ্রণী ছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ সেই কবি যিনি বেঁচে থাকবেন বাংলা সাহিত্য যতদিন বেঁচে আছে ততদিন।রবীন্দ্রনাথ এর কথা শুধু মুখে বলেই শেষ করা যায় কিন্তু ছবি এঁকে বা কল্পনা করে শেষ করা যায়না।

রবীন্দ্রনাথ এর সৃষ্টিকর্ম: রবীন্দ্রনাথ মোট ৫২ টি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। প্রায় দুই হাজার গান রচনা করেন। তিনি সবসময় তাঁর গান নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন।তিনি বলতেন আমার সব হারিয়ে গেলেও আমি গানের মধ্যে বেঁচে থাকব।কবিতা ও গান ছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ১৩ টি উপন্যাস, ৯৫ টি ছোট গল্প, ৩৬ টি প্রবন্ধ ও ৩৮ টি নাটক রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ এর সামগ্রিক চিঠিপত্র  ১৯ খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে।  

রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনের আগাগোড়াই সাহিত্যকে সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছেন। সাহিত্য চর্চাই ছিল তাঁর কাজ। 


Comments

  1. আপনার মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

আল্লাহ তুমি আছ

প্রিয়তমা (৩)