গুরু মহাশয়

Image
গুরু মহাশয় মোঃ আরিফ হোসেন            আকাশ বড় সাগর বড়  নদী বড় পাথার বড়; সবচেয়ে বড় তুমি, সেই তোমাকে ভালবাসি! তুমি যদি বড় না হতে আমি ছোট হয়ে যেতাম সেই কথা' স্মরণ কোরো, স্মরণ কোরো দিনরাত! তোমার বড়'র জন্যই যে এ জীবন তা কি তুমি বোঝনা?  তাহলে আরও বড় হচ্ছনা কেন?আজ থেকে আরও বড় হওয়ার চেষ্টা কর! তুমি বড় না হলে যে আমি ছোট হয়ে যাই সে কথা কি তুমি বোঝনা! কে কবে বড় হয়েছিল জানিনা তবে তুমি সবচে' বড় -এ আমার ভাল লাগে,  এ আমার গান! তুমি বড় থাকলে কি হয়? আমার আকাশে ফুল ফোটে, পাখি গান ধরে, উড়োজাহাজ" উড়ে বেড়ায় আকাশ জুড়ে! হে আমার বড় তুমি সারাক্ষণ বড় থেকো তানাহলে আমার কিছু ভাল লাগেনা- এ কথা মনে রেখো! বড় তুমি বড় থাকবে এটাইতো স্বাভাবিক,  তাহলে কাল কেন ছোট হতে গেলে?  তোমাকে দেখলাম ধানের গোলা একটা হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছ; ধানের গোলা কেউ হাতে নেয়! এখন থেকে বড় আছ, বড় থাকবে! বড় হতে গেলে কি কি লাগে?  ধান লাগে, পান লাগে, সবুজ খান লাগে; তোমার তো কোন কিছুর অভাব নাই,তাহলে বড় হতে সমস্যা কোথায়?  এখন থেকে বড় আছ আরও বড় হওয়ার চেষ্টা করবে!  বড় হতে গেলে আরও একটা জি...

কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর ' লিচু চোর' কবিতা নিয়ে আলোচনা

 কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর ' লিচু চোর ' কবিতা নিয়ে আলোচনা 

মোঃ আরিফ হোসেন 

                            

কাজী নজরুল ইসলাম, আমাদের প্রাণের মানুষ

কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের অহংকার ও গৌরবের প্রতীক। তিনি সাহিত্যে বিদ্রোহ, ভালবাসা, রম্য,বিদ্রুপ, হাসি,ঠাট্টা ইত্যাদির চিত্র এঁকেছেন। তাঁর সাহিত্যে বিদ্রোহ প্রধান বিষয় হলেও প্রেম, ভালবাসা, রম্য, বিদ্রুপ ভাল স্থান করে নিয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম সারা জীবন মানুষের মনের খোরাক যোগাতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি কবিতায় বিদ্রোহ, ভালবাসা, রম্য অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। নিচে তাঁর বিখ্যাত শিশুতোষ  রম্য কবিতা 'লিচু চোর' নিয়ে আলোচনা করা হল।



লিচু চোর 

কাজী নজরুল ইসলাম 

                    


বাবুদের তাল-পুকুরে

হাবুদের ডাল-কুকুরে

সে কি বাস করলে তাড়া,

বলি থাম্ একটু দাড়া।


পুকুরের ঐ কাছে না

লিচুর এক গাছ আছে না

হোথা না আস্তে গিয়ে 

য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে 

গাছে গো যেই চড়েছি 

ছোট এক ডাল ধরেছি,


ও বাবা মড়াত করে 

পড়েছি সরাত  জোরে ! 

পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই , 

সে ছিল গাছের আড়েই।

ব্যাটা ভাই বড় নচ্চার,

ধুমাধুম গোটা দুচ্চার

দিলে খুব কিল ও ঘুষি

একদম জোরসে ঠুসি!


আমিও বাগিয়ে থাপড় 

দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড় 

লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,

দেখি এক ভিটরে শেয়াল!

ও বাবা শেয়াল কোথা 

ভোলাটা দাঁড়িয়ে হোথা!

দেখে যেই আঁতকে ওঠা

কুকুরও জাড়লে ছোটা!

আমি কই কম্ম কাবার

কুকুরেই করবে সাবাড়!


' বাবা গো মা গো' বলে

পাঁচিলের ফোঁকল গলে

ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে, 

যেন প্রাণ আসল ধড়ে!


যাব ফের?  কান মলি ভাই,

চুরিতে আর যদি যাই!

তবে মোর নামই মিছা!

কুকুরের চামড়া খিঁচা

সে কি ভাই যায়রে ভুলা-

মালীর ঐ পিটুনীগুলা!

কি বলিস্? ফের হপ্তা! 

তৌবা-নাক খপ্তা!

              



    ' লিচু চোর' বাংলা সাহিত্যের অতুলনীয় সম্পদ।এটি যখন রচিত হয় কাজী নজরুল ইসলাম এর বয়স তখন ২২। এ কবিতায় কবি শিশুদের খেয়ালিপনার ছবি এঁকেছেন।শিশুরা অনেক সময় ছোট খাট চুরি, ডাংবাজি, হাসি ঠাট্টায় মেতে থাকে। কবি এ কবিতায় সে চিত্র আঁকতে চেয়েছেন। কবিতায় একটি ছেলে কুকুরের তাড়া খেয়ে আরেকজনের লিচু গাছে উঠে লিচু চুরি করার জন্য। কিন্তু সে লিচু চুরি করতে গিয়ে বিভিন্ন নাটকীয়তার সম্মুখীন হয় এবং অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে সেসব মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যায়। ছেলেটি গাছে উঠার পর গাছ থেকে পড়ে যায় এবং পাশেই মালী ছিল। মালী তাকে কিল, ঘুষি, ঠুসি মারে।কিন্তু সে মালীকে থাপ্পড় মেরে চলে আসে। আসবার কালে সে আরও কিছু বিপদ এর সম্মুখীন হয়, এই যেমন দেয়াল ডিঙানো, অপরিচিত একজনের দেখা পাওয়া, কুকুরের জাগুড় সামলানো। কিন্তু ছেলেটি সব কিছু সামলে শেষ পর্যন্ত নিজের জায়গায় স্থান করে নেয়।কবিতায় কবি শিশুদের সাহস যুগিয়েছেন এবং   সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছেন। 

কাজী নজরুল ইসলাম ' লিচু চোর ' কবিতায় অত্যন্ত উঁচ মানের মননশীলতা প্রদর্শন করেছেন যা তাঁর পুরো কবিতা পড়লে বুঝা যায়। 



 

Comments

  1. আপনার মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

আল্লাহ তুমি আছ

প্রিয়তমা (৩)