গুরু মহাশয়

Image
গুরু মহাশয় মোঃ আরিফ হোসেন            আকাশ বড় সাগর বড়  নদী বড় পাথার বড়; সবচেয়ে বড় তুমি, সেই তোমাকে ভালবাসি! তুমি যদি বড় না হতে আমি ছোট হয়ে যেতাম সেই কথা' স্মরণ কোরো, স্মরণ কোরো দিনরাত! তোমার বড়'র জন্যই যে এ জীবন তা কি তুমি বোঝনা?  তাহলে আরও বড় হচ্ছনা কেন?আজ থেকে আরও বড় হওয়ার চেষ্টা কর! তুমি বড় না হলে যে আমি ছোট হয়ে যাই সে কথা কি তুমি বোঝনা! কে কবে বড় হয়েছিল জানিনা তবে তুমি সবচে' বড় -এ আমার ভাল লাগে,  এ আমার গান! তুমি বড় থাকলে কি হয়? আমার আকাশে ফুল ফোটে, পাখি গান ধরে, উড়োজাহাজ" উড়ে বেড়ায় আকাশ জুড়ে! হে আমার বড় তুমি সারাক্ষণ বড় থেকো তানাহলে আমার কিছু ভাল লাগেনা- এ কথা মনে রেখো! বড় তুমি বড় থাকবে এটাইতো স্বাভাবিক,  তাহলে কাল কেন ছোট হতে গেলে?  তোমাকে দেখলাম ধানের গোলা একটা হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছ; ধানের গোলা কেউ হাতে নেয়! এখন থেকে বড় আছ, বড় থাকবে! বড় হতে গেলে কি কি লাগে?  ধান লাগে, পান লাগে, সবুজ খান লাগে; তোমার তো কোন কিছুর অভাব নাই,তাহলে বড় হতে সমস্যা কোথায়?  এখন থেকে বড় আছ আরও বড় হওয়ার চেষ্টা করবে!  বড় হতে গেলে আরও একটা জি...

বিড়াল ( কবিতা)

 বিড়াল 
মোঃ আরিফ হোসেন 
বিড়াল চোখ মেলে তাকিয়ে আছে



একটি বিড়াল রোজ রাতে আমার কাছে আসে।এসে কি চায় বুঝতে পারিনা। সে রোজ রাতে এসে আমার কাছে বসে থাকে।আমার মনে হয় কাঁটা চায়, আমি কাঁটা দেই নেয়না।মাঝে মাঝে মন চায় ঝালমুড়ি দেই, তাও নেয়না।সে কি চায় বুঝতে পারিনা। 

একদিন বললাম বিড়াল তুমি আস কেন? বলে, এই এমনে! এমনে মানে?  এমনিই! কই কাঁটা দেই নাওনা তো? কাঁটা আমার দরকার  নেই! তাহলে কি চাও? কিছুই চাইনা! তাহলে আস কেন? এমনিই!

বিড়ালের সারা গায়ে পশম, ধরলে থরথর করে ওঠে!  বিড়াল' আসলে কি চায় কিছুই বোঝা যায়না!

বিড়ালের নাম বিড়াল বলে ডাকলে রাগ করে!  মিউ বললে সাড়া দেয়।তবে মাঝে মাঝে একরকম! 

বিড়ালের গলায় দড়ি ঝুলিয়ে কয়েকদিন ঘুরিয়েছি, বিড়াল কিছুই বলেনা।বিড়াল আসলে কি চায় কিছুই বোঝা যায়না। 

বিড়ালে এ পায়ে কাঁটা ও পায়ে কাঁটা, সব পায়ে' কাঁটা খুলে দিয়েছি।কিন্তু বিড়াল কথা বলেনা।

বিড়াল নিয়ে কত গবেষণা করলাম, এমন বিড়াল জীবনেও দেখিনি। বিড়াল মনে হয় যা চায় তা পায়, তানাহলে এ বিড়াল এমন কেন!

বিড়াল' সারাক্ষণ ঘেউ ঘেউ করে,  আমার মনে হয় কুকুর। আসলে সে কুকুর নয় বিড়াল। 

বিড়ালের এই মাথা সেই মাথা।সবচেয়ে সুন্দর তার দাঁতের মাথা। সেই বিড়াল আমি আদর করি।

বিড়াল যদি কখনও পশ্চিম মুখী হয়, আমি পূর্ব মুখী, বিড়াল কিছুই বলেনা। 

বিড়াল আসলে সকাল বিকাল দু' বেলা দাঁত কাটে, তবে রাতে কাটে কিনা জানিনা। 

বিড়ালে যে একটি উরু দাঁত আছে সেটি আমি আদর করি, বিড়াল নিশ্চুপ থাকে।

বিড়ালের কত নাম " 'এই' ' এখানে', 'এইতো' " কোন নামে ডাকব খুঁজে পাইনা। বিড়াল সব নামে নিজেকে লুকিয়ে রাখে।

বিড়ালের গায়ের গন্ধে থাকা যায়না। একদিন বললাম, এই গোসল করে আয়, বিড়াল গোসল করেনা।তারপরও তা ভাল লাগে। 

বিড়াল'র সুন্দর একটি নাম রূপসী।ভেবেছি এ নামেই ডাকব, যদি সাড়া দেয়।

বিড়ালের কত গল্প করলাম, এমন গল্প জীবনেও করিনি।এ মনে হয় রাক্ষুসী বিড়াল।

বিড়াল যদি বিড়াল না হয়ে মানুষ হয় কেমন হয়?এ মনে হয় মানূসী বিড়াল। 

বিড়াল'র জিহবা আলগা। সিদ্ধান্ত নিয়েছি কাল রাতে জিহবা ঠিক করে দেব।

বিড়ালের যখন মাথা ঘোরায় সে কি করে ...........?   সারাক্ষণ শুধু মাথা চাপড়াতে থাকে ;এমন বিড়াল শুধু স্বপ্নেই দেখা মেলে।

বিড়ালের ঘন ঘন কাশ দেওয়ার অভ্যাস।একদিন কাশ দিতে গিয়ে পড়ে গেল। ধরলাম, কিছুই বলেনা।

বিড়াল' যত যাই হোক এদিক সেদিক নাক বাঁকা করেনা।এটাই আমার ভাল লাগে। 

বিড়ালের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি

(বিঃ দ্রঃ এটি একটি রূপক কবিতা। কবিতাটি সম্পূর্ণ রূপে নিজের লিখিত)(কবিতাটি গদ্য কবিতার আকারে পড়বেন)


Comments

  1. আপনার মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

আল্লাহ তুমি আছ

প্রিয়তমা (৩)