গুরু মহাশয়

Image
গুরু মহাশয় মোঃ আরিফ হোসেন            আকাশ বড় সাগর বড়  নদী বড় পাথার বড়; সবচেয়ে বড় তুমি, সেই তোমাকে ভালবাসি! তুমি যদি বড় না হতে আমি ছোট হয়ে যেতাম সেই কথা' স্মরণ কোরো, স্মরণ কোরো দিনরাত! তোমার বড়'র জন্যই যে এ জীবন তা কি তুমি বোঝনা?  তাহলে আরও বড় হচ্ছনা কেন?আজ থেকে আরও বড় হওয়ার চেষ্টা কর! তুমি বড় না হলে যে আমি ছোট হয়ে যাই সে কথা কি তুমি বোঝনা! কে কবে বড় হয়েছিল জানিনা তবে তুমি সবচে' বড় -এ আমার ভাল লাগে,  এ আমার গান! তুমি বড় থাকলে কি হয়? আমার আকাশে ফুল ফোটে, পাখি গান ধরে, উড়োজাহাজ" উড়ে বেড়ায় আকাশ জুড়ে! হে আমার বড় তুমি সারাক্ষণ বড় থেকো তানাহলে আমার কিছু ভাল লাগেনা- এ কথা মনে রেখো! বড় তুমি বড় থাকবে এটাইতো স্বাভাবিক,  তাহলে কাল কেন ছোট হতে গেলে?  তোমাকে দেখলাম ধানের গোলা একটা হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছ; ধানের গোলা কেউ হাতে নেয়! এখন থেকে বড় আছ, বড় থাকবে! বড় হতে গেলে কি কি লাগে?  ধান লাগে, পান লাগে, সবুজ খান লাগে; তোমার তো কোন কিছুর অভাব নাই,তাহলে বড় হতে সমস্যা কোথায়?  এখন থেকে বড় আছ আরও বড় হওয়ার চেষ্টা করবে!  বড় হতে গেলে আরও একটা জি...

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর 'সোনার তরী' কবিতা নিয়ে আলোচনা

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর 'সোনার তরী' কবিতা নিয়ে আলোচনা

মোঃ আরিফ হোসেন 


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর



 বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সোনার তরী কবিতাটি নিম্নরূপ:

                                    

গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।

কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।

রাশি রাশি ভারা ভারা

ধান-কাটা হল সারা,

ভরা নদী ক্ষুরধারা

খরপরশা-

কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।।


একখানি ছোট খেত, আমি একেলা-

চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা। 

পরপারে দেখি আঁকা

তরুছায়ামসী-মাখা  

গ্রামখানি মেঘে ঢাকা 

প্রভাতবেলা-

চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।। 


গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে! 

দেখে যেন  মনে হয় চিনি উহারে।

ভরা পালে চলে যায়, 

কোন দিকে নাহি চায়,

ঢেউগুলি নিরুপায়

ভাঙে দুধারে-

দেখে যেন মনে হয়, চিনি উহারে।। 


ওগো তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে?

বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।

যেও যেথা যেতে চাও,

যারে খুশি তারে দাও- 

                                    এই দৃশ্য' যেন সোনার তরী কবিতার ভাববস্তু বহন করে

শুধু তুমি নিয়ে যাও 

ক্ষণিক হেসে-

আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।।


যত চাও তত লও তরনী পরে-

আর আছে? -আর নাই, দিয়েছি ভরে।।

এতকাল নদীকূলে

যাহা লহে ছিনু ভুলে

সকলি দিলাম তুলে

থরে বিথরে-

এখন আমারে লহ করুনা ক'রে।।


ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই ছোট সে তরী 

আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।

শ্রাবনগগন ঘিরে 

ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে, 

শূন্য নদীর তীরে 

রহিনু পড়ি-

যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।।


 সোনার তরী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর একটি বিখ্যাত কবিতা। এ কবিতায় কবি মানুষের জীবনের কর্ম ও তার নিজের পরিনতি সম্পর্কে বলতে চেয়েছেন।কবি বলতে চেয়েছেন মানুষ একটা সময় পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় কিন্তু তার কর্ম পৃথিবীর বুকে ঠাঁই নেয়।অর্থাৎ মানুষের কর্মের স্থান এ পৃথিবীতে হয় কিন্তু তার নিজের স্থান হয়না।অর্থাৎ মানুষের কর্ম বেঁচে থাকে কিন্তু মানুষ বেঁচে থাকেননা।কবি এ কবিতায় মানুষের জীবন নিয়ে এক ধরনের দুঃখবোধের চিত্র আঁকতে চেয়েছেন। এখানে কবি বলতে চেয়েছেন এই যে মানুষের কর্মের স্থান এ পৃথিবীতে হয় কিন্তু তার নিজের স্থান হয়না এটা এক ধরনের মানুষের জন্য দুঃখজনক ঘটনা। কবির পুরো কবিতাতেই এ নিয়ে হাহাকার বিরাজ করতেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু কবি ছিলেননা ছিলেন একজন প্রণিধানযোগ্য দার্শনিক। তাঁর এ কবিতায় মানুষের কর্ম ও জীবন নিয়ে গভীর দর্শন ফুটে উঠেছে যা আমাদের এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়।আসলেই তো এ পৃথিবীতে মানুষ কত কিনা করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব ফেলে চলে যেতে হয়। মানুষের জীবনের দুঃখবোধ এ দিকটা কবি খুব গভীরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কবিতাটি একটি রূপক কবিতা ও উচ্চ মানুষের নান্দনিকতা সম্পন্ন কবিতা। এ কবিতা' খুব সহজেই বাংলা ভাষার সবচেয়ে প্রশংসনীয় কবিতাগুলোর মধ্যে স্থান পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।কবিতাটি আমাদের এক ভিন্ন ভাবের জগতে নিয়ে যায় যা আমাদের মনে এক ভিন্ন রেখাপাতের সূচনা করে। 



Comments

  1. আপনার মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

আল্লাহ তুমি আছ

প্রিয়তমা (৩)