গুরু মহাশয়

Image
গুরু মহাশয় মোঃ আরিফ হোসেন            আকাশ বড় সাগর বড়  নদী বড় পাথার বড়; সবচেয়ে বড় তুমি, সেই তোমাকে ভালবাসি! তুমি যদি বড় না হতে আমি ছোট হয়ে যেতাম সেই কথা' স্মরণ কোরো, স্মরণ কোরো দিনরাত! তোমার বড়'র জন্যই যে এ জীবন তা কি তুমি বোঝনা?  তাহলে আরও বড় হচ্ছনা কেন?আজ থেকে আরও বড় হওয়ার চেষ্টা কর! তুমি বড় না হলে যে আমি ছোট হয়ে যাই সে কথা কি তুমি বোঝনা! কে কবে বড় হয়েছিল জানিনা তবে তুমি সবচে' বড় -এ আমার ভাল লাগে,  এ আমার গান! তুমি বড় থাকলে কি হয়? আমার আকাশে ফুল ফোটে, পাখি গান ধরে, উড়োজাহাজ" উড়ে বেড়ায় আকাশ জুড়ে! হে আমার বড় তুমি সারাক্ষণ বড় থেকো তানাহলে আমার কিছু ভাল লাগেনা- এ কথা মনে রেখো! বড় তুমি বড় থাকবে এটাইতো স্বাভাবিক,  তাহলে কাল কেন ছোট হতে গেলে?  তোমাকে দেখলাম ধানের গোলা একটা হাতে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছ; ধানের গোলা কেউ হাতে নেয়! এখন থেকে বড় আছ, বড় থাকবে! বড় হতে গেলে কি কি লাগে?  ধান লাগে, পান লাগে, সবুজ খান লাগে; তোমার তো কোন কিছুর অভাব নাই,তাহলে বড় হতে সমস্যা কোথায়?  এখন থেকে বড় আছ আরও বড় হওয়ার চেষ্টা করবে!  বড় হতে গেলে আরও একটা জি...

কবি জীবনানন্দ দাশের 'হাজার বর্ষ আগে ' কবিতা নিয়ে আলোচনা

 (লেখকের নাম: মোঃ আরিফ হোসেন)

প্রেমের কবি জীবনানন্দ দাশ, প্রেমের মাঝেই বেঁচে থাকবেন


জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর কবিতা মানুষকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়।তাঁর কবিতা পড়লে প্রেম, ভালোবসা, রসবোধ ইত্যাদি জেগে ওঠে।জীবনানন্দ দাশ জীবনভর চেয়েছেন মানুষকে রসবোধের মাধ্যমে আনন্দ দিতে। তাঁর কবিতায় প্রেম, ভালবাসা, বিরহ, শুক্তির রস পাওয়া যায়। কবি এক 'অমোঘ কবি' এ আমাদের সাধনা।কবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় আজ তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ' হাজার বর্ষ আগে ' নিয়ে আলোচনা করা হল।

 কবির হাজার বর্ষ আগে কবিতাটি নিম্নরূপ:


হাজার বর্ষ আগে 

জীবনানন্দ দাশ            

প্রেম যেন এই ফুলের মাঝেই লুকিয়ে আছে


সেই মেয়েটি এর থেকে নিকটতর হ'লনা:

কেবল সে দূরের থেকে আমার দিকে একবার তাকালো

আমি বুঝলাম 

চকিত হয়ে মাথা নোয়ালো সে

কিন্তু তবুও তার তাকাবার প্রয়োজন-সপ্রতিভ হয়ে

সাত-দিন আট-দিন ন-দিন দশ-দিন

সপ্রতিভ হয়ে -সপ্রতিভ হয়ে 

সমস্ত চোখ দিয়ে আমাকে নির্দিষ্ট করে 

অপেক্ষা করে-অপেক্ষা করে 

সেই মেয়েটি এর থেকে নিকটতর হ'ল না

কারণ, আমাদের জীবন পাখিদের  মত নয়

যদি হ'ত 

সেই মাঘের নীল আকাশে 

(আমি তাকে নিয়ে) একবার  ধবলাটের সমুদ্রের দিকে চলতাম

গাঙশালিখের মত আমরা দু'টিতে

আমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছি

তুমি কোন এক পাখির জীবনের জন্য অপেক্ষা করছো।

হয়তো হাজার বছর পরে 

মাঘের নীল আকাশে 

সমুদ্রের দিকে যখন উড়ে যাব         

আমাদের মনে হবে 

হাজার হাজার বছর  আগে  আমরা এমন উড়ে যেতে চেয়েছিলাম।


কবিতাটি একটি প্রেমের কবিতা। কবি এখানে কল্পনা করছেন তাঁর প্রেম যদি এমন হত তাহলে কেমন হত।কবিকে এক মেয়ে ভালবাসে। কিন্তু কবি তাকে নিয়ে চিন্তা করছেন সে ( মেয়ে)  যদি এমনভাবে তাঁর জীবনে জড়াত তাহলে কেমন হত।কবি কল্পনা প্রবণ-এ তাঁর কবিতার প্রতি লাইনেই হদিস্ পাওয়া যায়। কবি ভাবছেন তিনি যদি তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে দূরে উড়ে যেতে পারতেন তাহলে কেমন হত।কিন্তু এ তো সম্ভব না।তাইতো কবি ভাবছেন কোনদিন যদি সম্ভব হয় তাহলে কেমন হবে। অর্থাৎ কবি কল্পনার জগতে হারিয়ে গিয়ে তাঁর প্রেমের বাস্তব রূপ দেখতে পাচ্ছেন।কবি তাঁর প্রেমিকাকে ভালবাসেন, কিন্তু প্রেমিকাকে নিয়ে তাঁর মনে অনেক সাধ জাগে, কিন্তু এসব সাধ পূরণ সম্ভব নয়।তাইতো তিনি কল্পনার জগতে হারিয়ে গিয়ে তাঁর প্রেমের বাস্তব রূপ দেখতে চাচ্ছেন।কবি একজনকে ভালবাসেন, অথচ তাঁকে নিয়ে মনের সাধ ওড়াতে পারবেননা এটা তিনি মানতে পারছেন না।তাইতো তিনি কল্পনার জগতে হারিয়ে গিয়ে মনের সাধ ওড়াচ্ছেন।

কবিতাটি আমাদেরকে এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়। মানুষ ভালবাসার মানুষকে নিয়ে কত কি করতে চায় তারই এক প্রতিচ্ছবি এ কবিতা। কবি একজনকে ভালবাসেন কিন্তু তিনি তাকে মনের মত করে পাচ্ছেননা।তাইতো তিনি ভাবছেন একদিন এমনভাবে পাবেন যা তুলনারহিত।


Comments

  1. আপনার মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

আল্লাহ তুমি আছ

প্রিয়তমা (৩)